বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন শুধু কথা বলার জন্য ব্যবহার করা হয় না। কথা বলার
পাশাপাশি একটি মানুষের ইনকামের একটি উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছ। মোবাইল ফোন শুধু
বিনোদনের কাজে না, বিনোদনের পাশাপাশি ছোটখাটো কাজ করেই যেমন কয়েকটি অ্যাপ
ব্যবহার করেই মোবাইল ফোন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু সব অ্যাপ দিয়েই টাকা
ইনকাম করা যায় না। টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার দরকার নির্ভরযোগ্য অ্যাপ। যেই
অ্যাপ থেকে আপনি নিশ্চিত ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমি
আপনাদেরকে মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০ টি অ্যাপ সম্পর্কে বলবো।
যে অ্যাপগুলো ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসে অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল। শেষ পর্যন্ত
পড়লে আপনি জানতে পারবেন মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০ টি অ্যাপ
সম্পর্কে যা আপনার অবসর সময়কে অর্থ উপার্জনের দিকে নিয়ে যাবে।
পেজ সূচিপত্রঃ নিচের যে অ্যাপটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তার উপরে ক্লিক
করুন।
Facebook - কনটেন্ট শেয়ার করে আয়
আজকে আমাদের তালিকায় থাকা মোবাইলের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ হলো ফেসবুক। এই
ফেসবুক দিয়ে এখন অনেকেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। ফেসবুক আজকের যুগে শুধু
বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখার মাধ্যম নয় বা শুধু ভিডিও বা রিলস দেখার মাধ্যম নয়।
ফেসবুক থেকে আপনি চাইলে ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন।গৃহিণীদেরকে রান্না করতেই হয়,
তাহলে মোবাইলে সেই রান্নার ভিডিও রেকর্ড করে ফেসবুক পেজে আপলোড করতে পারেন।তাহলে
আপনার রান্না করার পাশাপাশি সেই ভিডিও কনটেন্ট নিয়মিত ফেসবুকের ছাড়ার মাধ্যমে
ফলোয়ারও বাড়বে একই সঙ্গে আপনার পেজ মনিটাইজেশন কমপ্লিটও হবে।
একবার পেজ মনিটাইজ হয়ে গেলে আপনি ঘরে বসে শুধু রান্নার ভিডিও রেকর্ড করে তা
ছাড়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও যদি আপনি খেতে ভালোবাসেন তাহলে আপনার
খাওয়ার সেই ভিডিও রেকর্ড করে ফেসবুকে ছাড়েও ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক আমাদের
ইনকামের রাস্তা দিয়ে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমরা দৈনন্দিন যেসব কাজ করে থাকি
সেইসব কাজের ভিডিও যদি আমরা ফেসবুকে ছাড়তে পারি তাহলে সেই সব ভিডিও থেকেও ইনকাম
করা সম্ভব।
ফেসবুকে আজকাল মোটিভেশনাল গল্প, রিঅ্যাকশন ভিডিও শেয়ার করেও ইনকাম করা যাচ্ছে।
আপনি অন্য কারো ভিডিওর উপরে রিয়াকশন ভিডিও বানিয়ে তা ফেসবুকে আপলোড করতে পারেন।
আজকাল এই রিয়াকশন ভিডিও অনেক ট্রেন্ডিং এ চলছে অনেক। আপনি ঘরে পড়ার টেবিলে বসে
আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একটি রিএকশন ভিডিও বানাতে পারেন এবং ফেসবুকে
সেই ভিডিও ছাড়ে একটি ভালো ফলোয়ার জোগাড় করতে পারবেন এবং এটি আপনার
মনিটাইজেশনেও অনেক সাহায্য করবে।
একটি ভিডিও যদি ভাইরাল হয় তাহলে আপনার ফেসবুক মনিটাইজেশনকে সহজ করবে এবং আপনি
খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর একটি বড় সুবিধা হল যে এর জন্য আপনার অন্য
কোন দক্ষতার প্রয়োজন নাই বা আপনার কোন দামি সেটআপের প্রয়োজন পড়ে না। আপনার যে
বিষয়ে কাজ করতে ভালো লাগে বা কথা বলতে ভালো লাগে সেইসব জিনিসের ভিডিও বানিয়ে
ছাড়তে পারেন।
এছাড়া আপনার যদি কোন ছোট ব্যবসা বা কোন স্কিল থাকে তাহলে আপনি একটি ফেসবুক
পেজ ক্রিয়েট করতে পারেন। যেখানে আপনি আপনার সেই স্কিল বা আপনার সেই ব্যবসার
পণ্যগুলোকে নিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনার সেই ছোট ব্যবসা তখন ফেসবুকের
মাধ্যমে সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছাবে এবং আপনার কাছে সারা দেশের বিভিন্ন
জায়গা থেকে পণ্যের অর্ডার আসবে।
এটি আপনার ব্যবসাকে আরো বড় করবে এবং আপনার আর্থিক উন্নয়ন করবে। এর জন্য আপনাকে
দেশের বিভিন্ন জায়গায় আপনার দোকান বসাতে হবে না। শুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে
আপনি আপনার সেই ছোট দোকানকে গোটা দেশের কাছে পরিচিত করতে পারবেন এবং আপনার পণ্য
গোটা দেশের মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। তাই ফেসবুকে ধরা যায় মোবাইল দিয়ে
টাকা ইনকাম করা সেরা অ্যাপ হিসেবে
YouTube - ভিডিও বানিয়ে আয়
আজকের তালিকায় থাকা দ্বিতীয় জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপটি হলো ইউটিউব। আপনারা সকলেই
এই অ্যাপটির সাথে পরিচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেসব কাজে করতে গিয়ে আমরা আটকে
যাই বা সমস্যা মনে হয় কাজগুলো করতে তখনই আমরা সর্বপ্রথম যে এই অ্যাপটি ওপেন করি
তাহলে ইউটিউব। সেটা হতে পারে কোন রান্নার নতুন কোন রেসিপি, কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস
ঠিক করার নিয়ম বা মোবাইলের কোন দরকারি সেটিংস বা এখন ট্রেন্ডিং এ কোন ফোন ভালো
চলতেছে বা কোন মুভি, কোন নাটক এইসব যে কোন জিনিস যার জন্যআমরা ইউটিউবে সার্চ করে
থাকি।
তাই আপনিও ঘরে বসে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে বিষয়ে
ভালো জানেন বা আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে সে বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে আপনি
ইউটিউবে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো যে আপনি
এটি ঘরে বসেই করতে পারবেন। ধরেন যে আপনার রান্না করতে ভালো লাগে বা আপনি রান্না
সম্পর্কে দক্ষ।তাহলে আপনি ইউটিউবে নতুন নতুন রান্নার রেসিপি ভিডিও আপলোড করতে
পারেন। যে সব মানুষ রান্না করতে পারেনা বা নতুন নতুন রেসিপি জানেনা তারা আপনার
সেই ভিডিও দেখবে এবং তাদের থেকে পাওয়া ভিউয়ের মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে
ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসেই।
আপনি যদি ইলেকট্রনিক বিষয়ে দক্ষতা রাখেন তাহলে আপনি মানুষকে ইলেকট্রনিক বিষয়ে
জানাতে পারবেন ইউটিউবের মাধ্যমে। আপনি ইলেকট্রনিক বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে তা আপলোড
করবেন এবং সেটির মাধ্যমে ইউটিউব থেকে মাসে মাসে ইনকাম করতে পারবেন তাও শুধুমাত্র
ঘরে বসেই। আপনি ভিডিও বানাতে পারেন যে ফ্যান কিভাবে লাগাতে হয় বা কোন সার্কিট এর
কাজ কিভাবে করতে হয় বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে আপনি একটি টিউটোরিয়াল
ভিডিও বানিয়ে ছাড়তে পারেন এবং আপনার সেই ভিডিও মানুষ সার্চ করে দেখবে।
আপনি যদি মোবাইল ফোন বা টেকনোলজি নিয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন তাহলে আপনি একটি টেকনো
পেজ খুলতে পারেন ইউটিউবে। আপনি সেই পেজে ট্রেন্ডিং এ চলা ফোন সম্পর্কে মানুষকে
তথ্য দিতে পারবেন-যে কোন ফোনটা ভালো। অল্প বাজেটে কিভাবে ভালো ফোন কিনবেন বা কোন
ল্যাপটপটা ভালো এই টাইপের ভিডিও বানিয়ে মানুষকে নিয়ে জানাতে পারবেন।কারণ আজকাল
ফোন কেনার আগে ইউটিউবে ফোন সম্পর্কে জানতে চায়। মানুষ ল্যাপটপ সম্পর্কে জানতে চায়
মানুষ ফোনের সেটিং সম্পর্কে জানতে চায়। মানুষ ল্যাপটপ কিভাবে চালাতে হয় তা
সম্পর্কে ভিডিও দেখতে চায়।
আপনি চাইলে ইউটিউবে শিক্ষকতা ও করতে পারেন। আপনি যদি পড়ালেখাতে ভালো হয়ে
থাকেন তাহলে আপনি ইউটিউবে আপনার একটি ছোট্ট স্কুলও খুলতে পারবেন। আপনি যদি
পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতার চাকরি করতে চান এবং চাকরি পাচ্ছেন না। তাহলে চাকরির
পিছনে বাইরে না দৌড়ায় আপনি ইউটিউবে আপনার নিজস্ব একটি ছোট স্কুল শুরু করতে
পারবেন। এখানে আপনি আপনার পছন্দমত সাবজেক্ট এর উপরে শিক্ষকতা করতে পারবেন। যেমন
আপনি মেডিকেলের স্টুডেন্টদের পড়াতে পারেন বা আপনি অন্যান্য যে কোন
সাবজেক্টে উপরে পড়াতে পারবেন। আপনি যদি ভালোভাবে পড়াতে পারেন তাহলে
ইউটিউবের মাধ্যমে সারাদেশের ছাত্র-ছাত্রীর কাছে আপনার সেই ভিডিওটি পৌঁছাবে।
এইভাবে ইউটিউবের মাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা
পর্যন্ত। এটি কোন ছোট সেক্টর না, এটি অনেক বড় একটি সেক্টর। যদি আপনি আপনার
দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে ভিডিও বানিয়ে ছাড়তে পারেন এবং আপনি আপনি আপনার দক্ষতার
মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন তাহলে আপনি ইউটিউবের মাধ্যমে অনেক
ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনার জন্য মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ
ইউটিউব হতে পারে।
Instagram - রিলস ও ব্র্যান্ড স্পনসরজ
বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম শুধু ছবি পোস্ট করার জায়গা নয়, বরং যারা ভিডিও বা ছোট রিলস
বানাতে ভালোবাসে তাদের জন্য এটি একটি দারুণ ইনকামের প্ল্যাটফর্ম। ধরুন, আপনি
বাসায় বসে রান্না করছেন, হঠাৎ একটা রিল ভিডিও করে সেটাকে একটু মজার মিউজিক দিয়ে
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন-দেখবেন মানুষের ভালো লাগছে, রিয়্যাক্ট করছে, শেয়ার
করছে। এইভাবেই বাড়তে থাকে ফলোয়ার। আর যখন আপনার ফলোয়ার বাড়ে, তখন নানা ব্র্যান্ড
আপনাকে স্পনসর করার আগ্রহ দেখায়। তাই যারা কনটেন্ট তৈরি করতে পছন্দ করেন তাদের
জন্য ইনস্টাগ্রাম নিঃসন্দেহে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ।
আপনি যদি ফ্যাশন, মেকআপ বা প্রোডাক্ট রিভিউ ভালো বোঝেন, তাহলে ইনস্টাগ্রামে এসব
বিষয় নিয়ে রিলস তৈরি করা আপনার জন্য হতে পারে আয়ের এক সহজ মাধ্যম। ধরুন, আপনি
নতুন একটা লিপস্টিক বা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনলেন, সেটা নিয়ে রিভিউ দিলেন
ইনস্টাগ্রামে-সেই ভিডিও যদি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন, অনেকেই তা দেখে আগ্রহী
হবে। এমনকি ব্র্যান্ডেরাও চাইবে আপনি তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে ভিডিও বানান। এভাবেই
আপনি অ্যাফিলিয়েট লিংক কিংবা স্পনসর ভিডিও থেকে আয় করতে পারবেন। তাই যারা
প্রোডাক্ট প্রমোশন বা রিভিউ করতে পারেন, তাদের জন্য এটি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
করার সেরা অ্যাপ।
অনেকেই আছেন যারা ট্রাভেল, খাবার বা ডেইলি লাইফ নিয়ে রিল বানাতে ভালোবাসেন। যেমন
আপনি ঘুরতে গেলেন কক্সবাজার, সেখানকার হোটেল, খাবার, সী বিচ সবকিছুর ভিডিও করে
ছোট ছোট ক্লিপ বানালেন-এইসব নিয়েই যদি রিল বানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন, সেটি
খুব সহজেই ভাইরাল হতে পারে। এতে যেমন ফলোয়ার বাড়ে। তেমনি ইনকামের পথও খুলে যায়।
অনেক ট্রাভেল ইনফ্লুয়েন্সার এখন মোবাইল দিয়েই রিল বানিয়ে লাখ টাকা আয় করছেন। তাই
আপনি যদি নিয়মিত ও ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, ইনস্টাগ্রাম হতে পারে
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ।
WhatsApp Business - ছোট ব্যবসার বড় সুযোগ
অনেকেই ছোট ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু বড় প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট তৈরি করা
অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই তাদের জন্য WhatsApp Business হতে পারে সহজ
সমাধান। আপনি চাইলে ঘরে বসেই হাতে বানানো পণ্য, খাবার বা অনলাইন সার্ভিস ছোট
আকারে বিক্রি করতে পারেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। শুধু একটি ভালো প্রোডাক্ট ছবি তুলে
প্রোফাইলে যুক্ত করে কাস্টমারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলেই ইনকাম শুরু হতে পারে।
অর্ডার নেওয়া, স্ট্যাটাস দেওয়া ও অটো রিপ্লাই অপশনও রয়েছে এতে। এ
কারণেই WhatsApp Business এখন
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে অনেকের কাছে জনপ্রিয়।
আপনার যদি ছোট কোনো কাস্টমাইজড সার্ভিস থাকে যেমন ডিজিটাল আর্ট, ডিজাইন, বা
অনলাইন টিউশনি-তাহলেও হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস হতে পারে বড় সুযোগ। আপনি চাইলে
নির্দিষ্ট গ্রাহকদের নিয়ে একটি গ্রুপ গড়ে তুলতে পারেন। প্রতিদিনের অর্ডার,
কাস্টমার আপডেট, পেমেন্ট রিমাইন্ডার সব কিছুই এখানেই দিতে পারবেন। আর সব কিছু
মোবাইলেই হওয়ায় আলাদা করে সময় বের করার দরকার পড়ে না। এভাবেই WhatsApp Business হয়ে উঠছে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ-এর একটি বাস্তব উদাহরণ।
যারা স্থানীয়ভাবে কিছু বিক্রি করতে চান-যেমন কেক, পোশাক, কসমেটিকস, বা গিফট
আইটেম-তাদের জন্য WhatsApp Business অনেক সহজ অপশন। নিজের পরিচিতদের মাঝে প্রোডাক্ট প্রচার করে, ধীরে ধীরে
নতুন ক্লায়েন্ট তৈরি করা সম্ভব। রেগুলার অর্ডার ম্যানেজ করা, কাস্টমার
স্যাটিসফ্যাকশন নিশ্চিত করাও সহজ হয়। এতে করে ব্যবসার জন্য আলাদা জায়গা বা
ইনভেস্টমেন্টের দরকার পড়ে না। শুধু একটা মোবাইল আর WhatsApp Business থাকলেই আপনি শুরু করতে পারেন। তাই এটা নিঃসন্দেহে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
করার সেরা অ্যাপ।
Telegram - চ্যানেল বা গ্রুপ চালিয়ে আয়
টেলিগ্রাম হলো মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ গুলোর মধ্যে একটি। যা
ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। এখানে আপনি নিজের একটি চ্যানেল বা
গ্রুপ তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করতে পারবেন। ধরুন, আপনি যদি নিউজ,
প্রযুক্তি বা মজার ভিডিও শেয়ার করেন, তাহলে অনেকেই আপনার চ্যানেল ফলো করবে।
ফলোয়ার বাড়লে স্পনসরশিপ কিংবা পেইড মেম্বারশিপ থেকে আপনি আয় শুরু করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে টেলিগ্রামের সবচেয়ে বড় সুবিধা
হলো এর ব্যবহার সহজ এবং আপনি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারবেন।
আপনি যদি আপনার গ্রুপে বা চ্যানেলে বিশেষ কোনো পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করেন,
তাহলে রেফারেল লিংক বা স্পন্সরড পোস্টের মাধ্যমে ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারবেন। এটি
এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে নিয়মিত কাজ করলে ভালো আয় নিশ্চিত।
আরো একটি দারুণ দিক হলো, টেলিগ্রামে আপনার নিজের গ্রুপ তৈরি করার সুযোগ। আপনি
চাইলে শিক্ষামূলক কনটেন্ট, লাইফস্টাইল, অথবা ব্যবসায়িক টিপস শেয়ার করে
নির্দিষ্ট মানুষের জন্য পেইড সাবস্ক্রিপশন চালু করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মটি
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে আজকাল অনেকের পছন্দের তালিকায়
উঠে এসেছে।
Google Blogger - ব্লগ লিখে ইনকাম
গুগল ব্লগার হলো মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপগুলোর মধ্যে আরও একটি
অ্যাপ। যা দিয়ে আপনি সহজেই নিজের ব্লগ শুরু করতে পারেন। আপনি মোবাইল থেকে নিজের
আগ্রহ বা দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের লেখা তৈরি করতে পারবেন। ধরুন,
আপনি রান্না, ভ্রমণ, প্রযুক্তি বা শিক্ষামূলক বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখতে পারেন।
নিয়মিত লেখা আপলোড করলে আপনার ব্লগে ভিজিটর বাড়বে এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম
শুরু করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে গুগল ব্লগার আপনাকে দেয়
সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের লেখার উপর। আপনি নিজের পছন্দ মতো কনটেন্ট তৈরি করে
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন যুক্ত করতে পারবেন। এর ফলে, আপনার ব্লগে যত
বেশি মানুষ আসবে। তত বেশি আয় হবে। আপনি স্পন্সরড পোস্ট বা অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করেও আয় বাড়াতে পারেন।
সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, গুগল ব্লগার ব্যবহার করা খুবই সহজ, বিশেষ করে যারা
নতুন এবং যারা মোবাইল থেকেই কাজ করতে চান তাদের জন্য। এই প্ল্যাটফর্ম দিয়ে আপনি
ঘরে বসেই নিজের লেখা দিয়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ থেকে ভালো
আয় করতে পারবেন। তাই যারা লেখালেখি ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি দারুণ একটি সুযোগ।
bKash - এজেন্ট বা পার্টনার হয়ে আয়
bKash হলো মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ গুলোর মধ্যে আরেকটি অ্যাপ। যা
ব্যবহার করে আপনি সহজেই বাড়িতে বসে ইনকাম করতে পারবেন। সবার ফোন বিকাশ
অ্যাপ থাকে। bKash এজেন্ট বা পার্টনার হয়ে আপনি প্রতিটি লেনদেন থেকে কমিশন
অর্জন করতে পারেন। এর জন্য আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ
থাকলেই হবে। আপনি নিজে বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করলে কিংবা অন্যদের লেনদেন করালে
কমিশন পাবেন, যা প্রতিদিনের আয়ের একটি স্থায়ী উৎস হতে পারে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে bKash আপনাকে অনেক ধরনের সুযোগ
দেয়। যেমনঃ বিকাশের ক্যাশব্যাক পার্টনার হয়ে আপনি বিক্রেতাদের মাধ্যমে কমিশন
পেতে পারেন। এছাড়া বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করে বা
পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে কাজ করেও ইনকাম বাড়ানো যায়। যারা ঘরে বসে নিয়মিত ইনকাম
করতে চান তাদের জন্য এটি খুব ভালো একটি মাধ্যম।
সবশেষে বলতে পারি, bKash পার্টনার বা এজেন্ট হয়ে আয় করা কোনো কঠিন কাজ না। শুধু
সঠিক নিয়ম মেনে চললেই আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ থেকে নিয়মিত
আয় নিশ্চিত করতে পারবেন। যারা নতুন শুরু করতে চান তাদের জন্য bKash একটি
নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম।
Daraz - পণ্য বিক্রি করে টাকা ইনকাম
Daraz বর্তমানে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ
করে যারা পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহী তাদের জন্য। আপনি যদি ঘরে বসে ছোট পরিসরে কোনো
কিছু তৈরি করেন।যেমনঃ পোশাক, হ্যান্ডমেইড জিনিসপত্র, কসমেটিকস বা নিত্য দরকারি
পণ্য-তাহলে মোবাইলের মাধ্যমে দারাজ সেলার অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই পণ্য বিক্রি
শুরু করতে পারেন। ছবি তুলে আপলোড, দাম ঠিক করা আর অর্ডার কনফার্ম করা-সব কিছুই
মোবাইল থেকেই করা যায়।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে Daraz আপনাকে একটি বিশাল
মার্কেটপ্লেস দিবে। যেখানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন কেনাকাটা করে। আপনি যদি
প্রোডাক্টের ভালো ছবি তুলে এবং কিছু আকর্ষণীয় বিবরণ দিতে পারেন। তাহলে দ্রুত
অর্ডার আসা শুরু হবে। দারাজের পেমেন্ট সিস্টেম বেশ ভালো। প্রোডাক্ট ডেলিভারি
হওয়ার পর আপনার বিকাশ বা ব্যাংক একাউন্টে পেমেন্ট চলে আসে।
Daraz-এর আরেকটি দিক এটি নতুন সেলারদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয় যাতে আপনি
পেশাদারভাবে ব্যবসা করতে পারেন। তাই আপনি যদি পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে চান,
তাহলে Daraz মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হতে পারে।
Foodpanda - রাইডার বা হোম কিচেন হয়ে আয়
Foodpanda এখন শুধু খাবার অর্ডার করার অ্যাপ না। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার
সেরা অ্যাপ হিসেবেও অনেকের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। আপনি চাইলে এই অ্যাপে
রেজিস্ট্রেশন করে রাইডার হিসেবে কাজ করতে পারেন। নিজের মোবাইল আর বাইক বা সাইকেল
থাকলেই খাবার ডেলিভারি দিয়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করা
সম্ভব। সময় অনুযায়ী ডেলিভারি দিয়ে ইনকাম করার সুযোগ থাকায় ছাত্র, বেকার বা
পার্ট-টাইম খুঁজছেন এমন যেকেউ এটি করতে পারেন।
যারা রান্না করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য Foodpanda হোম কিচেন ফিচার দারুণ এক
সম্ভাবনা। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে Foodpanda এর মাধ্যমে
আপনি নিজের রান্নার দক্ষতাকে ব্যবসায় রূপ দিতে পারেন। ঘরে বসেই রান্না করে ছবি
তুলে Foodpanda Kitchen অ্যাপে আপলোড করলেই শুরু হয় অর্ডার। রান্না ভালো হলে
কাস্টমার বাড়ে, রেটিং বাড়ে, আর ইনকামও বাড়ে।
আরও ভালো দিক হলো, Foodpanda সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে থাকে-চালান নেওয়া, পেমেন্ট
ট্র্যাকিং, কাস্টমার ম্যানেজমেন্ট-সব কিছু আপনি আপনার মোবাইল থেকেই করতে পারবেন।
তাই যারা সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায়ে ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য Foodpanda হতে পারে
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ। আজই রেজিস্ট্রেশন করে শুরু করতে পারেন
আপনার নতুন পথচলা।
TikTok - ভিডিও কনটেন্ট থেকে আয়
আপনি কি কখনো ভাবছেন যে আপনার প্রতিদিনের ভিডিও বানানোর অভ্যাসটা দিয়েই আয় করা
যেতে পারে? যারা নিয়মিত TikTok চালান, তারা জানেন এটা শুধু মজার ভিডিও দেখার
জায়গা নয়, বরং এটা একটা আয় করার দারুণ প্ল্যাটফর্মও। আপনি যদি রান্না করেন, গানে
ঠোঁট মেলান, কিংবা নিজের প্রতিদিনের ভ্লগ বা টিপস শেয়ার করেন-তাহলেই আপনি হয়ে
উঠতে পারেন একজন ইনফ্লুয়েন্সার। এখন অনেকেই ঘরে বসে মোবাইলে ভিডিও বানিয়ে ভালো
পরিমাণ ইনকাম করছেন। TikTok তাই এখন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা
অ্যাপগুলোর মধ্যে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
অনেকেই জানেন না-TikTok শুধু ফলোয়ার বাড়িয়ে রাখলেই হয় না, বরং লাইভে গিয়ে গিফট
পাওয়া, ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ, এমনকি অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করেও ইনকাম করা যায়।
আপনার যদি ১০০০+ ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনি সহজেই লাইভে গিয়ে উপহার পেতে পারেন, যা
পরে টাকায় রূপান্তর করা যায়। পাশাপাশি, আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ভালো
ভিডিও বানাতে পারেন, যেমন-মেকআপ টিউটোরিয়াল, খাওয়ার রিভিউ, বা ঘর সাজানোর
টিপস-তাহলে স্পনসর ভিডিওর অফার পেতে পারেন। এমন সুযোগের কারণে TikTok আজ মোবাইল
দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আপনি যদি সত্যিই টিকটককে আয় করার মাধ্যম হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিয়মিত ভিডিও
দিন, ট্রেন্ড ফলো করুন, আর নিজের একটা ইউনিক স্টাইল তৈরি করুন। শুধু খেয়াল
রাখবেন, কনটেন্ট যেন মানসম্মত হয়-এতেই মানুষ আকৃষ্ট হবে। এখনকার দিনে মোবাইল আর
ইন্টারনেট থাকলেই আপনি নিজের ঘর থেকে একটা পুরো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। তাই
আপনি যদি শুরু করতে চান আয় করার যাত্রা, তাহলে TikTok হতে পারে মোবাইল দিয়ে টাকা
ইনকাম করার সেরা অ্যাপ হিসেবে আপনার প্রথম স্টেপ।
লেখকের শেষ মন্তবঃ নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ইনকাম
আমি নিজে আগে আপনাদের মত ভাবতাম যে কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়। কারণ
আমি একজন ছাত্র। তাই আমার পক্ষে বাইরে বের হয়ে অতিরিক্ত টাইম জোগাড় করে কাজ
করা সম্ভব ছিল না। তাই আমি ভাবছিলাম যে কিভাবে ঘরে বসে অল্প সময়ের মধ্যে
স্বাধীনভাবে কোন কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। ঘরে বসে আমি ভাবতাম যে কিভাবে,
কাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি সঠিক তথ্যটা পাবো। তো একদিন বন্ধুদের সাথে কথা বলতে
বলতে একটি আইটি প্লাটফর্মের খবর পাই যেখানে গুগল ব্লগারে লেখালেখি করে টাকা
ইনকাম কিভাবে করা যায় তা শিখানো হতো।
পরবর্তীতে আমরা তিন বন্ধু মিলে সেই আইটি প্লাটফর্মে যাই এবং কিভাবে তারা কাজ
শিখায় এবং আদেও কি সত্যিই সেই কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় কিনা তা যাচাই করি।
তারপর আমরা সবকিছু জেনেশুনে সেই আইটি প্লাটফর্মটিতে ভর্তি হই এবং সেখানে আড়াই
মাস প্রশিক্ষণ নেই। পরে আমরা নিজেরা গুগল ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলি এবং সেখানে
লেখালেখি শুরু করি। প্রতিদিন লেখালেখি করার মাধ্যমে আমরা ভিউ আস্তে আস্তে
বাড়াতে পারি। এভাবে একপর্যায়ে যখন প্রচুর পরিমাণে ভিউ আসা শুরু করল তখন আমরা
গুগল এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করি।
গুগল এডসেন্স পাওয়ার পরে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আমরা টাকা ইনকাম করা শুরু
করি। আপনারা এখন যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
এই আর্টিকেলটি পড়তেছেন এটাই হল সেই ওয়েবসাইট যেই ওয়েবসাইটের কথা আমি আপনাদেরকে
এতক্ষণ বলতেছিলাম। এই ওয়েবসাইটটি একদিনে তৈরি হয়নি। এটি তৈরি করার জন্য
আমাদেরকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল, ধৈর্য দিতে হয়েছিল এবং নিয়মিত লেখালেখি পোস্ট
করতে হয়েছিল।
গুগল এডসেন্স আমার ওয়েবসাইটে চালু হওয়ার পরে যখন প্রথম টাকা উপার্জন করেছিলাম
সেটি ছিল ৬০০ টাকা। কিন্তু আস্তে আস্তে ভিউ বাড়তে থাকে এবং একাউন্টে টাকার পরিমান
আরো বাড়তে থাকে। তো এই অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে আপনারাও টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
যদি আপনাদের মনে সেই ইচ্ছা থাকে এবং ধৈর্য থাকে।
আপনাদের সবাইকে এতক্ষণ ধরে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা 10 টি অ্যাপ
সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আশা করি সেটি আপনাদের কাজে এসেছে
এবং আপনারা নতুন কিছু জানতে পেরেছেন।এমন আরও নতুন কিছু জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন
(
আরও পড়ুন )। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত
বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন। কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
কমেন্টে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url